২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১২:২১

কয়রা ৬ সাংবাদিকের নামে এক যুগ আগের ঘটনায় হত্যা মামলা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

কয়রা প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে কয়রায়। এবার খুলনার কয়রা উপজেলায় দীর্ঘ এক যুগ পর জামায়াতের এক কর্মী হত্যার ঘটনায় কয়রায় ৬ সাংবাদিকের নামে আদালতে মামলা হয়েছ।

বৃহস্পতিবার নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবিরন নেছা বাদী কয়রা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আবেদনটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে কয়রা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় ক্ষোভে ফুসছেন সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে মামলা থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এ মামলায় খুলনা-৬ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সঙ্গে ৬ সাংবাদিককেও আসামি করে ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন,খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সোহরাব আলী, আক্তারুজ্জামান,কয়রা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার, সহসভাপতি আবদুস সাত্তার পাড়, আইনজীবী আরাফাত হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ। ৬ সাংবাদিক হলেন, দৈনিক ভোরের কাগজের কয়রা প্রতিনিধি শেখ সিরাজুদ্দৌলা লিংকন, কয়রা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, দৈনিক যায় যায় দিনের মাস্টার হাবিবুল্লাহ, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও পূর্বাঞ্চলের ওবায়দুল কবির সম্রাট, দৈনিক খুলনা অঞ্চলের শাহাজান সিরাজ ,আজকের দর্পনের তারিক লিটু।
এ অবস্থায় গ্রেফতার ও হয়রানি এড়াতে পরিবার ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এই ৬ সাংবাদিক।এতে করে একদিকে তাদের পেশা হুমকির মুখে পড়েছে; অন্যদিকে তাদের অনুপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভুক্তভোগী এসব পরিবারের সদস্যরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাংবাদিকদের এসব হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের নাম আসায় কয়রা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক নেতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ ধরনের হয়রানি মূলক মামলা থেকে পেশাদার সাংবাদিকদের অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানান ।
কয়রা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ হারুনর রশিদ বলেন ,কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকা বা অন্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ থাকলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের কয়রা উপজেলা আমির মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় বহু নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে সেসময় একজন নিহত হন। সে সময় মামলা করার সাহস করেনি কেউ। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন।সাংবাদিকদের নাম আছে পরে জানতে পেরেছি । সাংবাদিকদের নাম আসা উচিত হয়নি । এতে সুবিচার করার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন