২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,সকাল ৬:৫২

ভোমরা স্থলবন্দরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্তকরনে আগাম সতর্কাবস্থা জারি

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২

  • শেয়ার করুন

এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরা:

বৈশ্বিক কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমন উপশমের পর দেশে দেশে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স। বর্হিবিশ্বের দেশগুলোতে গত মে মাসের শুরু থেকে আশংকাজনক হারে মাঙ্কিপক্স এর রোগী শনাক্ত হয়েছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে মে মাস থেকে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে আফ্রিকার কিছু অংশেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এটা এখন আরো দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশে উৎবেগ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর,নৌবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায় মাঙ্কিপক্স শনাক্তকরন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থায় আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশী যাত্রীদের শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কোনো উপসর্গ ধরা পড়লে তাৎক্ষনিক কোয়ারেনটাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের ন্যায় ভোমরা স্থলবন্দরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে আগাম সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট অভ্যন্তরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ড. আব্দুস শহিদ জানান, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পাশাপাশি মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রাথমিক সনাক্তকরন বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বর্হিবিশ্বের মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যদি কোনো পাসপোর্ট যাত্রী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পূর্বে ভোমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ কেন্দ্র থেকে তাদের শারিরিক তাপমাত্রা ও মাঙ্কিপক্সের অন্যান্য উপসর্গ পরিলক্ষিত করা হবে। এদিকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াতের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারনে আমাদের দেশেও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে এ মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রতিরোধে দিক নির্দেশনা আসবে। আপনাদের অতি দ্রুত এ দিক নির্দেশনার ব্যাপারে অবগত করা হবে। সাতক্ষীরার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এই রোগে সংক্রমিত রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করবে। এ রোগে বিরল কিছু ক্ষেত্রেই কেবল মৃত্যুর আশংকা থাকে। সম্প্রতি বছরগুলোতে আফ্রিকা অঞ্চলে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাসে হাজারো রোগী শনাক্ত হলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব ছিল না। মাঙ্কিপক্স হলো একটি ভাইরাস, যা পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। এর লক্ষনগুলো গুটি বসন্তের মতোই। জ্বর, গায়ে ব্যাথা, আকারে বড় বসন্তের মতো, গায়ে গুটি ওঠাকে আপতত মাঙ্কিপক্সে উপসর্গ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এ রোগে প্রাণহানির সংখ্যা খুবই কম। আফ্রিকায় দড়ি কাঠবিড়ালি, গাছ কাঠবিড়ালি, গাম্বিয়ান ইঁদুর, ডর্মিসের পাশাপাশি বিভিণ্ন প্রজাতির বানর এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে মাঙ্কিপক্স পাওয়া গেছে। এদিকে এ ব্যাপারে ভোমরা ইমিগ্রেমন পুলিশ চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, যদি বিদেশী কোনো পাসপোর্ট যাত্রী নাগরিকের শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়ে তাহলে আমরা স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সচেষ্ট রয়েছি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন