৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ১১:২১

শিরোনাম
ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর পূনঃ সবুজায়ন কার্যক্রম উদযাপন এবং সমন্বিত সবুজ বিদ্যালয় ঘোষণা অনুষ্ঠিত মারধরের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী সত্যানন্দ দত্ত নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

  • শেয়ার করুন

ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার সময় সোমবার রাতে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত রোববার রাতে নূর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী। রাজধানীর লালবাগ থানায় ওই মামলা করা হয়। মামলার বাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।

নূর ও মামুন ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হিল বাকি।

পুলিশের রমনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা জানিয়েছেন, রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে থেকে পুলিশ নুরুল হক নূরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের আরও কয়েকজন নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। তারা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে মামলার এজাহারে বাদি নিজেকে প্রধান আসামি মামুনের বান্ধবী পরিচয় দিয়েছেন। তার অভিযোগ, হাসান আল মামুন তার একই বিভাগের সিনিয়র ছাত্র এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয়। তারা ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে মামুন তাকে লালবাগের বাসায় ডেকে নেয়। তিনি বাসায় গেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুন তাকে ধর্ষণ করে।

সাবেক ভিপি নূরসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে বাদি এজাহারে বলেছেন, ঘটনার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ জানুয়ারি তাকে মামুন তার বন্ধু (২ নম্বর আসামি) সোহাগের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তখন তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সোহাগ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তিনি যাতে হাসপাতালে থাকতে না পারেন, সেজন্য নানা অপচেষ্টা চালান। এর মধ্যে তিনি এক নম্বর আসামি মামুনকে বিয়ের চাপ দিলে সে বিয়ে করতে সম্মত হলেও পরে টালবাহানা শুরু করে।

বাদি বলেন, কোনো উপায় না দেখে গত ২০ জুন বিষয়টি নুরুল হক নূরকে (৩ নং আসামি) মৌখিকভাবে জানালে তিনি বিষয়টির সুরহা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। নূর তাকে নীলক্ষেত দেখা করতে বললেন। সেখানে গেলে মিমাংসার কথা এড়িয়ে তাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দেন। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে নূর তার ভক্তদের দিয়ে উল্টাপাল্টা পোস্ট দেওয়াবেন বলেও হুমকি দেন। তাকে (বাদিকে) পতিতা বলে ছাত্র অধিকার পরিষদের লাখ লাখ মেম্বারের গ্রুপে প্রচার চালানোরও হুমকি দেন। তার একটি লাইভে সব সম্মান চলে যাবে বলেও তাকে শাসান। মামলার ৪ নম্বর আসামি সাইফুল তার (বাদি) নামে কুৎসা রটাতে ৫ নং আসামি নাজমুল ও ৬ নম্বর আসামি আবদুল্লাহ হিল বাকিকে দায়িত্ব দেয়। তারা ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে মানসিকভাবে চাপ দিতে থাকে।

মামলার এজাহারে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে অভিযোগকারী ছাত্রী সমকালকে বলেন, পুরো ঘটনাটি ছাত্র অধিকার পরিষদের অনেকেই জানেন। অনেকেই মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বললেও তাকে ঘোরানো হচ্ছিল। মামুনও তাকে বিয়ের আশ্বাসে ঘুরাচ্ছিল। এ জন্যই তিনি বাধ্য হয়ে দেরিতে হলেও আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হাসান আল মামুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

লালবাগ থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, এতে সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন