২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৮:১৬

খুলনায় করোনায় একদিনে রেকর্ড আক্রান্ত ১৩৩ জন

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২০

  • শেয়ার করুন

গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ১৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১৩৩ জনই খুলনা জেলার। এছাড়া বাগেরহাটের ৩ জন, যশোরের ১ জন ও নড়াইলের ২ ও পিরোজপুর ১ জন রয়েছেন। এটাই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।এই নিয়ে খুলনায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮০২ জন।

শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শুক্রবার পিসিআর ল্যাবে ৩৭৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতে খুলনা নমুনা ছিল ৩৫৮ টি। মোট পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১৪০ টি। যার মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ১১৩ জন খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় ২০ জন। যেমনঃ দাকোপ ২,
দিঘলিয়া ৮, ফলোআপ ১,বটিয়াঘাটা ১,ডুমুরিয়া ২
রুপসা ৩, বাকিরা বাগেরহাটের ৩ জন, যশোরের ১ জন ও নড়াইলের ২ ও পিরোজপুর ১ জন রয়েছে।

খুলনা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একদিনে শনাক্ত হওয়ার দিক থেকে খুলনায় এটিই সর্বোচ্চ। এর আগে গত বুধবার একদিনে সর্বোচ্চ ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়, গত বৃহস্পতিবার খুলনায় ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আজ শুক্রবার ১৩৩ জন শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলো। এনিয়ে খুলনা জেলা ও মহানগরীতে এখন পর্যন্ত ৮০২ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

খুলনায় যারা করোনা শনাক্ত হয়েছেন: বঙ্গবাসি এলাকার দুই পুরুষ (২১) ও (১৭), এক শিশু (২), দুই নারী (৫০) ও (২৭), এক শিশু (১১), হাউজিং বাজারে এক পুরুষ (৫০), ক্রিসেন্ট রোডে এক যুবক (৩৪) ও এক নারী (৩৪) ও এক শিশু (৮), এক পুরুষ (২৮), পিপলস জুট মিলস এলাকায় এক নারী (৫০), দক্ষিণকাশিপুরে মোরল বাড়ির এক যুবক (৩৪), আলমনগরে এক নারী (২৩), খালিশপুরে এক বৃদ্ধ (৭০), তিন নারী ও এক পুরুষ (৫২), শেখপাড়া মসজিদ সড়কে এক নারী (৩৩), ৮২/২, জংশন রোডে এক পুরুষ (৫০), শেখপাড়া বাজারে এক নারী (৫৫) ও এক শিশু (২), এক পুরুষ (৩৪) ও তিন নারী (২৮), (২৮) ও (২৮), দুই যবক (৪০) ও (৩৮), শেখপাড়া পুরাতন মসজিদ সড়কে এক যুবক (৩৪), নৌবাহিনীর সদস্য তিনজন (৫০), (২৩) ও (৩৪), সদর হাসপাতালের এক নারী (৬৫), দুই পুরুষ (৪৪) ও (৫৮), বয়রা পুজাখোলা এলাকা এক বৃদ্ধ (৬৮), লবচনরা এলাকায় এক যুবক (২৭) ও কিশোর (১৮), টুটপাড়ায় এক কিশোর (১৬) ও এক নারী (৬৫), মির্জাপুরে এক নারী (৪০), এক যুবক (২০) ও এক পুরুষ (৫৬), হাজী মহসিন রোডের এক নারী (৪৮), টিবি বাউন্ডির সড়কে দুই নারী (৫১) ও (৪০), মিস্ত্রীপাড়ার এক নারী (৫৭), ‍রূপসা স্ট্রান্ড রোডে এক নারী (৩৯), সোনাডাঙ্গায় তিন পুরুষ (৪৫), (৫১) ও (৩৮), এক নারী (৩৮), দুই কিশোরী (১৫) ও (১৪), নুরানী মহল্লায় এক যুবতি (১৮), মুজগুন্নিতে এক পুরুষ (৪৩), বড় বয়রায় এক বৃদ্ধ (৬৫), হেরাজ মার্কেটের এক বৃদ্ধ (৬৯), আমতলা এলাকায় এক ‍যুবক (৩৯), বয়রা কলেজ মোড়ে এক ‍যুবক (৩২), গোবরচাকায় এক পুরুষ (৪০), ছোট মির্জাপুরের এক যুবক (২২) ও এক পুরুষ (৫৬), দেয়ারা যুগিহাটিতে এক নারী (৫২), বিকে রায় রোডের এক নারী (৫৯) ও এক যুবক (২৫), আরও এক নারী (২৭), এক পুরুষ (৬০), মজুগুন্নিতে এক পুরুষ (৪৫) ও এক নারী (২০), মিস্ত্রীপাড়ায় এক পুরুষ (৪৪), কেডিএ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত এক যুবক (৩৬), বানিয়াখামার এলাকায় এক যুবক (২৬), করিমনগরের এক নারী (৩০) ও এক পুরুষ (৩৮), শান্তিনগরে এক নারী (৫৮), বেক্সিমকো ফার্মার কর্মরত এক যুবক (২৮), ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের এক পুরুষ (৫২), লবনচরা হরণটানা এলাকায় এক যুবক (৫০), জিরোপয়েন্ট এলাকায় এক যুবক (৩৯), দৌলতপুর মহেশ্বর পাশার এক বৃদ্ধ (৬২), ফুলবাড়িগেট এলাকায় এক পুরুষ (৪৫), ২৮ টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডে এক বৃদ্ধ (৬৪), রূপসা চানমারীতে এক ‍যুবকক (৩২), গল্লামারীতে এক নারী (৪৬), কেএমপি’র এক পুলিশ সদস্য (৩৫), জুগিপুর শিরোমনিতে এক পুরুষ (৪৬), টিভি বাউন্ডারি রোডে এক পুরুষ (৫৮),  সোনাডাঙ্গায় আরও এক নারী (২৮), লবনচরায় এক পুরুষ (৫০), আড়ংঘাটায় দুই পুরুষ (৫৩) ও (৩৪)।

এছাড়াও ডুমুরিয়ার টিপনার এক শিশু (৪), মিকমিশিমিলের এক পুরুষ (৪৭), আরও দুই নারী (৩০), (৩৮) ও এক পুরুষ (৩৭)। বটিয়াঘাটার জলমা উপজেলায় এক নারী (৫৫), দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের দুই নারী (২২) ও (৩৫), এক পুরুষ (৬০) আরও এক নারী (৩৫), ব্রহ্মগাতিতে একবৃদ্ধ (৬৫) ও এক যুবক (৩৫)। ফুলতলা উপজেলার দামোদর এক পুরুষ (৫৫), বোরহান পাড়াএয় এক যুবক (৩৬)। রূপসা উপজেলার জোয়ালবাধালে এক যুবক (৩৮), জয়পুরে এক পুরুষ (৫৯), আইচগাতিতে এক যুবক (৪০)। কয়রা উপজেলার আমাগী গ্রামে দুই পুরুষ (৪৫) ও (৫৩)। দাকোপ উপজেলা কালবগিতে দুই নারী (৪৫) ও (৩০)।

খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানা গেছে,
খুলনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭২ জন। যার মধ্যে মারা গেছে ৯ জন, সু্স্থ্য হয়েছেন ৮০ জন, বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন