দেশে সার্স-কোভ-২ বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আজ থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরুপ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এবিএম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত প্রায় দেড় মাস ধরে অব্যাহতভাবে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনও ইতিমধ্যে দেশে শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্তদের বেশির ভাগ ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকার ইতিমধ্যে ওমিক্রন ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। এরমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এলো
এ ছাড়া আরও চারটি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে আর বলা হয়েছে, স্কুল কলেজের মতো এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ বা অনুষ্ঠানসমূহে এক শ জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না।
এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই করোনা প্রতিরোধী টিকা সার্টিফিকেট বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরটি পিসিআর টেস্টের ফল সাথে আনতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কলকারখানাগুলোতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দায়িত্ববহন করতে বলা হয়েছে।
বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরণের জনসমাবেশে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি মনিটর করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। ১১ দফা দেবার পরেও সাধারণ মানুষ তা মানছে না। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না। স্কুলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বন্ধ থাকবে।
‘টিকা সনদ সাথে থাকতে হবে। জেলা প্রাশাসক ও পুলিশের প্রতি ১১ দফা বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। সংক্রমণের হার কমাতে গেলে সবাইকে নিজ জায়গা থেকে বিধিনিষেধ মানতে হবে।’
বইমেলা, স্টেডিয়াম কিংবা পর্যটন এলাকায় গেলে অবশ্যই সঙ্গে করে টিকা কার্ড নিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তার চার মাসের মাথায় আবারও দুই সপ্তাহের বন্ধের ঘোষণা এলো।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত