২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,দুপুর ১২:২১

শিরোনাম

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের নামে মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : ঘরে অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি ও খুলনার সাবেক পুুলিশ কমিশনারসহ ১৯ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খালিশপুর আমলী আদালতে এ মামলা করেছেন খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছা সিদ্দিকা।
ওই আদালতের বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য খালিশপুর থানায় প্রেরণ করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছন বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম লিটন।
মামলার আসামিরা হলেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, কেএমপি সাবেক পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপিনাথ কাঞ্জিলাল, খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াস, এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফা, এসআই রেজোওয়ান উজ্জামান, এসআই এসকেএম শরিফুল ইসলাম, এসআই সাগর হালদার, কনস্টেবল তানজিন আক্তার, এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডল, এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম, এএসআই শেখ নুরুজ্জামান, এসআই আরিফুজ্জামান, কনস্টেবল সাজ্জাদুল ইসলাম, কনস্টেবল কামরুন্নেছা হ্যাপি, এস আই মোঃ রাকিবুল ইসলাম, এছাড়া বয়রা এলাকার মোঃ ইয়াছিন আরাফত, সৈয়দ নাহিদুজ্জামান, সৈয়দ নজিরুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
বাদীর এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তানজিলুর রহমান বাদীর ছেলে। যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ‘বিষা বালির হত্যাকান্ডের সাথে মাওঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জড়িত নয়। যেটি বিষা বালির ভাই সুখরঞ্জন বালি মাওঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জানাযায় উপস্থিত হয়ে মন্তব্য করেন।
স্টেটাস দেওয়ার পর ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট দুপুর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক, সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপিনাথ কাঞ্জিলাল ও খালিশপুর থানার তৎকালীন অফিসার্স ইনচার্জ মুনীর উল গিয়াসের নেতৃত্বে ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ৩ জন ও আরও ১০/১৫ জন খালিশপুর থানাধীন ৫/১ বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন রোডে বাদীর বাবার বাড়িতে অনাধিকারে প্রবেশ করে। তারা ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় ঘরের দরজা খোলার জন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এমন কি তারা গুলি করার হুমকিও দিতে থাকে। আনিছা ছিদ্দিকা দরজা খুলে দেন। দরজা খুলতে দেরী হওয়ার কারণে ওসি মুনীর উল গিয়াস তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন তাকে সহকারী পুলিশ কমিশনার ও ওসি তার ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে। তাকে বলে ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছাড়িয়ে সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা ও জনগণকে উত্তেজিত করছে। তখন আনিছা সিদ্দিকা বলেন এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।


এ কথা শুনামাত্র আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের মালামাল ভাংচুর ও তছনছ করতে থাকে। তার ঘর থেকে ৩ টি ল্যাপটপ যার অনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা এবং ৪ টি মোবাইল ফোন নেয়। এরপর তারা বাড়ি দ্বিতীয় তলায় ভাংচুর এবং নিচতলায় অবস্থানরত ব্যাচেলরদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আনিছা সিদ্দিকা, মোঃ রকিবুল ইসলাম ও মোঃ তামিম ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ২০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ ডি ধারায় মামলা দায়ের করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, উক্ত আসামিগণ খালিশপুর থানায় মিথ্যা মামলা মামলা করায় দেশসহ সমগ্র পৃথিবীতে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে।
বাদীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনার পর পুরো বিশে^ ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালত মামলা গ্রহণ করেছে। খালিশপুর থানাকে তদন্ত করে রির্পোট দিতে আদেশ দিয়েছেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন