মিলন হোসেন বেনাপোল,
দেশ জাতির কল্যাণে নতুনত্ব ফসলে হব সাফল্যময় এমনি আশা নিয়ে আধুনিক লাঠি মরিচ চাষ শুরু করেছেন শার্শার এক কৃষক আবু সাঈদ ওরফে মানিক রাজা। সাফল্যের মিষ্টি ঝিলিকে উচ্ছাসিত সুশিক্ষীত এ যুবক। খেতে সু স্বাদু, দেখতে বড় এই প্রথম লাঠি মরিচ বা সিমলা মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ ওরফে (মানিক রাজা)।
মাত্র ১৫ শতাংশ জমিতে এই লাঠিমরিচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন । সে তার এলাকায় দেখিয়েছেন চমক। কাঙ্খিত ফলন ও অধিক দাম পাওয়ায় আগামীতে আরো এই মরিচ চাষ বৃদ্ধিসহ রফতানির স্বপ্ন দেখছেন এলাকার বিভিন্ন চাষী ও ব্যাবসায়িরা।
দেশ বিদেশের নামীদামী হোটেল, রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাদ্যে, সালাত ও সবজি হিসাবে ব্যাবহারে ক্যাপছিক্যাম মরিচের চাহিদা ও কদর রয়েছে ভাল। ভারত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসে এ মরিচ। এবার ভারতের পুনে এলাকা থেকে আনা নতুন জাতের লাঠি মরিচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন শার্শার কৃষক মানিক রাজা।
দেখতে মোটা মরিচ মনে হলেও খেতে মোটেও ঝাল নয় মিষ্টি ও সু স্বাদু। লাঠি মরিচ নামে এ মরিচে রয়েছে পুষ্টিগুন। ক্যাপসিকামের মত এই মরিচ সবজি বা সালাত করে খাওয়া যায়। এ জাতের মরিচ মিষ্টি মরিচ নামেও পরিচিত।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই লাঠি মরিচ বা সিমলা জাতের মরিচের চাষ বেশি হওয়ায় সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করেন মানিক রাজা। বাংলাদেশে আবহাওয়া প্রথম বারের মতো বীজ থেকে চারা তৈরি করে সফলও হয়েছেন মানিক রাজা। মাত্র ৪৫ দিনেই পাওয়া যায় ফলন। ক্ষেতের প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে বড় বড় সাইজের মিষ্টি লাঠিমরিচ। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ৫গুন লাভের ফসল এ মরিচ। উৎপাদন ভালো এবং বাজারে এর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোক্তা। আগামীতে আরো অনেক জমিতে বৃহৎ পরিসরে এই মরিচের আবাদ বৃদ্ধির আশা চাষী রাজা সহ এলাকার সাধারণ কৃষকের।
যশোরের শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল দৈনিক তথ্য কে বলেন, বাংলাদেশে আবহাওয়ায় ভাল হওয়ায় শার্শা উপজেলার মাটিতে এই প্রথমবারের মতো ক্যাপসিকামের পরেই চাষ হচ্ছে মিষ্টি লাঠি মরিচ। আগামীতে বিস্তার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষন পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বিদেশের মাটিতে নয় দেশের মাটিতেই ফলছে লাঠি মরিচ বা মিষ্টি মরিচের মতো বিভিন্ন জাতের বিদেশি সবজি। এর ফলে ঘুচবে বেকারত্ব উপকৃত হবে দেশের সকল মানুষ
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত