দীর্ঘ ২৯ দিন পর খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজের প্রাথমিক রহস্য উন্মোচন হলো। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রহিমাকে ফরিদপুর থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাকে ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ধন্যবাদ জানান।
নিজের ফেসবুক পেজে মরিয়ম মান্নান লিখেন, ‘ধন্যবাদ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি সারা জীবন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। গত ২০/০৯/২০২২ আমি এবং আমার পরিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে দেখা করি। তার কাছে আমার আমার মাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাই। তিনি আস্বস্ত করেছিলেন আমি আমার মাকে খুঁজে পাবো। আমি সারাজীবন মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।’
এসময় নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ দাবি করে তিনি লিখেন, ‘আমি আমার মায়ের কাছে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ আমি। মায়ের সাথে দেখা হওয়ার পরে এবং কথা হওয়ার পরে আমি সকল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবো।’
এদিকে পাঁচ ঘণ্টা আগে মরিয়ম তার ফেসবুক পেজে আরও একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি তার মায়ের হারিয়ে যাওয়া থেকে খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সন্তান মাকে খুঁজবে খুব স্বাভাবিক। আপনার মা হারিয়ে গেলে আপনিও খুঁজতেন। ফুলপুরের লা* পর্যন্ত গিয়েছি মাকেই খুঁজতে। ফুলপুর থানার ওসিকে আমি তাদের দেয়া একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই কল দেই।
ওখানে যাই, ডিএনএ টেস্টের জন্য আবেদন করি। আমার মাকে আমি খুঁজেছি, সব জায়গায় গিয়ে একটা কথাই বলেছি আমার মাকে চাই। মা যদি আত্নগো** করেন তাকে এনে শাস্তি দিন তাও আমার মা আমার চোখের সামনে এনে দিন দয়া করে।’
‘আজকে মাকে পাওয়া গেছে, আমি মায়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। মায়ের সাথে এখনো দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। মায়ের কোনো ভিডিও অথবা অডিও পাইনি যেখানে মা বলেছেন তিনি আত্মগোপন করেছেন।’
এ সময় তাকে ভুল না বুঝতে অনুরোধ করে তিনি লিখেন, ‘সকলের কাছে কাছে গিয়েছি মাকে খুঁজে পেতে, যাদের কাছে গিয়েছি তারা জানেন কি চেয়েছি আমি। মাকে চাওয়া ছাড়া আর কিছু চাওয়া আমার ছিল না, এখনো নেই। দয়া করে আমার মাকে আমার মায়ের সাথে আমার দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি মাকে খুঁজেছি, সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব তাকে খোঁজা। মা এই ৩০ দিন কোথায় ছিল কিভাবে ছিল সেটা আপনাদের মতো আমারও প্রশ্ন।’
মায়ের নিখোঁজ নিয়ে যারা মরিয়মকে জড়িত বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, ‘আমার মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিন। আমার মায়ের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত আমাকে সহোযোগিতা করুন। মা যদি আত্নগোপন করেও থাকেন তবুও তাকে খোঁজার দায়িত্ব আমার। আমি মাকে খুঁজতেছি বলে আমাকে বলা হচ্ছে মায়ের আত্নগোপনে আমি জড়িত? তাহলে আমার কি করা উচিত ছিল? যখন শুনেছি আমার মা নিখোঁজ তখন চুপ করে বসে থাকা উচিত ছিল? যারা প্রথমদিন থেকে বলছিলেন মা আত্মগোপন করেছেন তাদের কথা শুনে মাকে আর খুঁজতাম না? মাকে খুঁজেছি বলে আমাকে দোষী করা হবে বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।
লিখেন, ‘আপনারা আমাকে যে যাই দোষ দিন না কেন, প্রথম দিন থেকে আমি ছুটিতেছি মায়ের জন্য। আজকে পেয়েও গিয়েছি। বারবার বলেছি মা আত্মগোপন করলে সামনে আনুন শাস্তি দিন আমার কলিজা জুড়াক। আমার কলিজা শান্ত হইছে। মায়ের চেহারাটা দেখেই আমার শান্তি। আপনারা যে যাই বলেন, এখন আমার মা আমার সামনে। মাকে খুঁজে পাওয়ার লড়াই ছিল আমার। আপনারা সহযোগিতা করেছেন। আপনাদের সহোযোগিতায় আজকে আমার মাকে খুঁজে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।’
‘আমি খুশি, এক মুহূর্তের জন্যও বিচলিত নই। মাকে খুঁজতে গিয়ে যদি আমাকে দোষী হতে হয় আমি সেই দোষ মাথা পেতে নেয়ার শক্তি এবং সাহস রাখি, ইনশাআল্লাহ।’
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত