তথ্য প্রতিবেদক :
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যার প্রতিবাদে খুলনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিববাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড় এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন শিববাড়ি। দুপুর থেকেই বাংলাদেশ ডুবলো কেন-খুনি মোদি জবাব দে, আমার ভাই মরলো কেন-খুনি মোদি জবাব চাই, বাংলাদেশে বন্যা কেন-খুনি মোদি জবাব চাই, এমন স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে।
খুলনা থেকে খুলনায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এমন বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে খুলনার সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে শিববাড়ি মোড়ে। দুপুরের আগ মুহূর্তেই স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। এসময় ওই এলাকার সাধারণ যানবাহন ভিন্ন পথে চলতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ভারতের মধ্য দিয়ে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাংলাদেশের কোনো অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ভারত এসব নদীতে এক বা একাধিক বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানি আটকে বাংলাদেশকে মরুকরণের দিকে ঠেলে দেয়। আবার বর্ষা মৌসুমে একবারে এসব বাঁধ খুলে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারে। ভারতের ত্রিপুরাতে অতি বৃষ্টি হওয়ার অজুহাতে বাংলাদেশকে কোনোরূপ তথ্য ও পূর্ব সর্তকতা ছাড়াই অকস্মাৎ বিভিন্ন বাঁধ ছেড়ে দিয়ে মুহুরী, গোমতি, খোয়াই নদী পানি সুনামির মতো ঢুকেছে সীমান্তবর্তী ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি জেলায়। পানি ঢুকতে শুরু করেছে সিলেট হবিগঞ্জ সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার জেলায়। এছাড়া সিকিমে তিস্তা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধে রহস্যজনক ধস নামায় আতঙ্কে আছেন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত