মিলন হোসেন বেনাপোল,
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে তছনছ হয়ে গেছে বেনাপোলের চিত্র। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত সীমান্ত লাগোয়া বড়আঁচড়া গ্রামে বেড়েছে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর সংখ্যা। পৌর এলাকার মধ্যে নামাজগ্রাম, দীঘিরপাড়, ছোট আঁচড়া, সাদিপুর, এবং ভবেরবেড় গ্রামে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।
বেনাপোলে কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক না থাকায় শরীরে জ্বর ও নানা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা।
করোনার ভয়াবহতা রুখতে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান এর নেতৃত্বে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিং করে জনগণকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করছেন।
বুধবার শার্শা থেকে যশোরে ৬২ জনের নমুনা পাঠানো হলে ২৫ জন পজেটিভ শনাক্তের মধ্যে বেনাপোলের ৭ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যে ২২ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত শুধু বেনাপোলে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ জন বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা ৩ শতাধিক হবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
গত পরশু সর্বোচ্চ ১১ জন পজেটিভ রোগী চিহ্নিত হয়ে বেনাপোলে। এ ছাড়া একইদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে যশোর সদরে স্থানান্তরিত হন। এ পর্যন্ত বেনাপোলে আবাসিক হোটেলে ভারতফেরত করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে মোট ২৪ জন। সংক্রমণে এ পর্যন্ত শার্শা উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬২১জন।
এর মধ্যে আইসোলেশনে আছেন ১২৩ জন। বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন ১১ জন।
বুধবার যশোর জেনম সেন্টারের দেওয়া তথ্যে শার্শায় সংক্রমণের হার ৪৩ শতাংশ বলে জানা গেছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি থামাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন, সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে বাজারে অহেতুক জনগণের চলাচল নিরুৎসাহিত করতে মাইকিং এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য স্বশরীরে মনিটরিং করছেন। মাস্কবিহিন লোকজনকে দফায় দফায় জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে ১৬ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত লকডাইন দেওয়া হয়েছে এ উপজেলায়। খুলে রাখা হচ্ছে কাচা বাজার,মুদিখানা,ওষুধ,ব্যাংক, কাস্টমস ও বন্দর অফিস।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, সংক্রমণ রোধে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী প্রায় ৭ হাজার পেশাজীবী মানুষকে অবিলম্বে টিকা প্রদান কর্মসূচির আওতায় না আনতে পারলে ভয়াবহ রূপ নেবে বেনাপোলের সার্বিক অবস্থা।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত