প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ডিসি অফিস) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘেরাও কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা।
সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতারা বলেন, ‘বিজিএমসির দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে পাটকলে লোকসান হয়েছে। লুটপাটের জন্যই পাটকল ও পাটশিল্প আজ ধ্বংসের পথে। অথচ বিজিএমসির দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সৃষ্ট লোকসানের দায় সাধারণ পাটকল শ্রমিকদের ওপর চাপাচ্ছে সরকার।
দুর্নীতিবাজদের অন্যায় শাস্তির ফল ভোগ করছেন শ্রমিকরা। অবিলম্বে পাটকল চালুর দাবি জানান তারা।
’
তারা আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক শ্রমিকের জীবন চলছে পেশার বদল ঘটিয়ে মানবেতরভাবে। কর্মহারা এ শ্রমিকদের কেউ কেউ সহজ পেশা হিসেবে রিকশা চালাচ্ছেন। কেউবা ফল বিক্রেতা কিংবা নির্মাণ শ্রমিকের কাজে নেমেছেন। আর এখনও কাজ জোগাড় করতে না পেরে বেকার জীবন পার করছেন অনেকে। ’
ঘোরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, ‘বিজিএমসি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ভ্রান্ত নীতির কারণে পাটশিল্পে লোকসান হচ্ছে। লোকসানের এ দায় নিষ্ঠুরভাবে শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের অন্যায় দুর্নীতির ফল আজ শ্রমিকদের ভাগ করতে হচ্ছে। নিষ্ঠুর এ খেলা বন্ধ করতে হবে। লুটপাটের এ সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। ২৫টি পাটকল বন্ধ করা সরকারের সিদ্ধান্ত। সরকার পাটকল বন্ধের জন্য এ করোনাকালকে বেছে নিয়েছে। যাতে শ্রমিকরা আন্দোলন করতে না পারে। ’
তিনি দ্রুত বন্ধ পাটকলগুলো চালুর দাবি জানান।