নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় অবস্থিত জাহিন টেক্সটাইল নামের একটি রপ্তানিমুখি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকেও কারখানার তিনটি দোতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলাগুলোতে আগুন জ্বলছে।
পোশাক কারখানার সুইং বিভাগের শ্রমিক হাবিব জানান, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আগুন লাগে। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রথম বের হয়ে ২ নং ইউনিটের সামনে ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু শুক্রবার হওয়ায় বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিল। তবে প্রতিটি ইউনিটে কিছু শ্রমিক তৈরি পোশাক প্যাকেজিং করে শিপমেন্টের জন্য কাজ করছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানের আশপাশে বেশ কিছু শ্রমিক বসবাস করেন। দূর থেকে ধোঁয়া দেখে তারা আগুন নেভাতে আসেন। প্রচুর ধোঁয়া পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কারণে পাশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির ২নং ইউনিটের দোতলা শেডের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে শ্রমিকরা সেখানে ঢুকে জানালার কাঁচ ভেঙে দেন যাতে ধোঁয়া বের হতে পারে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে তারা নেমে এসে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক শফিউদ্দিন ভূইয়া জাগো নিউজকে বলেন, আগুন লাগার পরপর নিরাপত্তা রক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে বলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে আসতে ৩০-৩৫ মিনিট দেরি হয়। আগুন ২, ৪, ৫ ও ৬ নং ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মীরা পাশের পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ বিদ্যুৎ বিভাগকে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে প্রতিটি ইউনিটের উপরের অংশ স্টিল স্ট্রাকচারের এবং কাঠ ও বোর্ড দিয়ে ভেতরের অংশে ডেকোরেশন করা। আমরা মূলত গেঞ্জি, পলো শার্ট, জ্যাকেট, ট্রাউজার এসব তৈরি করি। প্রতিটি ইউনিটের উপরের অংশগুলোতে এসব তৈরি পোশাক প্রচুর পরিমাণে ছিল। আগুন এসবে লেগে বেশ উঁচু হয়ে জ্বলতে থাকে। আমাদের প্রতিটি ইউনিট-ই বিশাল। এর মধ্যে ৫নং ইউনিট ২৫ হাজার স্কয়ার ফিটের। ফলে আগুনে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জাগো নিউজকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় আগুন লাগার খবর পাই। পৌনে ৫টায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও, বন্দরসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের আরও ১২ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করতে থাকে।
তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত