৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,বিকাল ৩:৫৩

শিরোনাম
খুলনায় ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান সিএসএস মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’র খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা

ধর্মঘটে অচল সারাদেশ, দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১

  • শেয়ার করুন

জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ‘ধর্মঘট’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ছয়টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন সড়কে দেখা যায়, ধর্মঘটের কারণে কোনো গাড়ি টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না। যানগুলো টার্মিনালে আটকা রয়েছে। এতে অন্যান্য সময় যানজটে স্থবির থাকা ঢাকার সড়ক অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে ছোট ছোট যান বিশেষ করে সিএনজি ও রিকশা চলতে দেখা গেছে। চলতে দেখা গেছে বিআরটিসি বাস।
অন্যদিকে বাস না চলায় যাত্রীদের ভোগান্তিকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে রাইডস শেয়ার, সিএনজি ও লেগুনা চালকরা। ভোগান্তির শিকার মানুষ দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। ভাড়া বাড়ানো না হলে তারা রাস্তায় পরিবহন নামাবেন না।

গত বুধবার রাত ১২টা থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে বেড়ে গেছে ১৫ টাকা। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি মালিকরা শুক্রবার ভোর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়। তবে বাস চালানোর বিষয়টি গতকাল রাত পর্যন্ত ধোয়াঁশায় ছিল।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গতকাল বিকেল পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে বাস চালানোর কথা জানিয়েছেন। তবে রাতে বিষয়টি পরিষ্কার করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। সংগঠনটি জানায়, পণ্যবাহী যানের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বাস চালাবেন না বাস মালিকরাও।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েনের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সারাদেশে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা ধর্মঘটের ঘোষণা দেইনি। কিন্তু মালিকরা গাড়ি চালাবেন না।

এদিকে আঞ্চলিক কমিটিগুলোও বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরুর পর থেকে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকায় যারা জরুরি কাজে বেরিয়েছেন বাস না পেয়ে তাদের অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। আবার অনেককে তিন চাকার যানে চড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন