১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ৬:৪২

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

দেশে বড় দুর্যোগের পূর্বাভাস

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২১

  • শেয়ার করুন

সিলেটে সাত দফায় ভূমিকম্প বড় দুর্যোগের পূর্বাভাস বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের ভেতরেই বিপজ্জনক দু’টি ভূকম্পন উৎসের কথা জানিয়ে তারা বলছেন, যে কোনো সময় শক্তি দেখালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করাও কঠিন। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সচেতনার আহ্বান তাদের।
সিলেটের জৈন্তাপুরে লালাখালের দক্ষিণে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ডুপিটিলা পাহাড়ের ১৫ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। একবার, দু’বার নয় – অনুভূত হয় সাতবার। যদিও এর সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক এক মাত্রার মৃদূ ভূমিকম্প।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ভেতরেই যে দু’টি স্থানে বিপজ্জনক ভূকম্পন শক্তি লুকিয়ে আছে সিলেটের জৈন্তাপুর ও এর আশপাশের এলাকা এর মধ্যে একটি। শনিবারের (২৯ মে) একাধিক ছোট ভূকম্পন বড় দুর্যোগের সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, এই যে বিপুল পরিমাণ শক্তি ভূ-অভ্যন্তরে জমা হয়েছে, সেটা এক সময় না এক সময় বের হতেই হবে। সিলেটের ভূমিকম্প একটা আগাম সতর্কবার্তা। দেখা যাবে হয়ত আগামী ১০ দিনের মধ্যেই বড় ভূমিকম্প হতে পারে। কারণ অতি শক্তিশালী অঞ্চলে এ ভূমিকম্পটা হয়েছে।

যেহেতু সিলেট-চট্টগ্রাম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ, তাই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়মিত মহড়া ও ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা নির্মাণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, এখন সুপ্ত অবস্থায় যে ফাটলগুলো আছে, সেগুলো যে কোনো সময় নাড়াচাড়া দিয়ে উঠবে। সিলেট ও ঢাকায় অনেক নির্মাণ কাজ হচ্ছে। এগুলো ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে করা হচ্ছে কিনা যাচাই করাটা খুবই জরুরি।

ধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত না হয়ে দু’য়েক কদমের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া গেলে আমাদের জীবন রক্ষা পাবে। এবং সেটার জন্য আমাদের মহড়া প্রয়োজন।

সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানালেন তারা।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন