তথ্য প্রতিবেদকঃ খুলনা মহানগরীর দক্ষিণ লবণচরা মোক্তার হোসেন মেইন রোড এলাকায় অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সমাজ সেবার নামে মসজিদ ও যুবকদের বিভিন্ন প্রকারের খেলার আয়োজন করে এলাকায় সরল সহজ মানুষদের কাছে সস্তায় জনপ্রিয়তা ও আস্থা অর্জণ করে প্রতারক কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এলাকাবাসীদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, প্রতারক সেলিম রাজু অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান ও যুব শ্রেণীদের জন্য ক্রিকেট, ব্যান্ডমিনটন আয়োজন করে এলাকার লোকদের আস্থা অর্জন করে নিজেকে সবার প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেল্লাল ভূঁইয়া জানান, “গত একমাস আগে জৈনিক সেলিম রাজুর সাথে আমার পরিচয় হয় । মোক্তার হোসেন সড়ক (মুন্সি বাড়ী) চৌরাস্তার মোড়ে তার সাথে আমার চায়ের দোকানে প্রায়শঃ দেখা হতো এবং আলাপচারিতার মাধ্যমে ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে পড়ি। এক পর্যায়ে গত ২৮ অক্টোবর তারিখে আমাকে তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে টাকা দরকার পিডিপি’র বিপুল পরিমানের নিলামের মালামাল ক্রয় করবে, বিক্রয় করার পর আমাকে মুনাফা একটি অংশ দিবে বলে প্রস্তাব দিলে এক মাসের জন্য তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা প্রদান করি । ২৬ নভেম্বর আমাকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল, সে অনুযায়ী আমি তার বাসায় দেখা করতে গেলে রুমে তালা লাগালো দেখে পরে জানতে পাই যে, আমার মতো আরো লোকের কাছ থেকে ধোঁকা দিয়ে বিপুল পরিমানে আত্মসাৎ করে পালিয়েছে। তার ব্যবহৃত নম্বরে ফোন দিলে বারবার বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আমি এলাকায় খবর নিয়ে জানতে আমার প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেনের দোকান থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা বাকি বাজার করেছে এবং তার নিকট ব্যবসার কথা বলে এক লক্ষ বিশ হাজার এবং বাবুল বিশ্বাসের ছেলেকে বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ত্রিশ হাজার টাকা এবং নাসির হোসেন ও আসাদ-উজ্জামান শাহিনের নিকট হতে ব্যবসার কথা বলে পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার টাকা গ্রহণ করে” ।
তিনি আরো জানান, উক্ত প্রতারক আমাদেরকে ব্যবসায়ীক অংশীদারিত্ব কথা বলে প্রভোলন দেখিয়ে আমাদের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তার ব্যবহৃত নাম্বারে বারবার ফোন দিয়ে ও তার ব্যবহার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উক্ত সেলিম রাজু বিভিন্ন সময় নিজেকে বিভিন্নভাবে পরিচয় দেয় কোন সময় পিডিবির কর্মকর্তারা দার কোন সময় বড় ব্যবসায়ী বলে নিজেকে দাবি করেন। রাজু উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন ও এলিয়ন প্রাইভেট কারে চলাফেরা করতো ।
ভাড়া বাসার মালিক আক্তার মুন্সি জানান, তিনি দুমাস আগে তার নিকট বাসা ভাড়া নেন ।এবং সে সময় পুলিশ ফরম পূরণ করে তাকে বাসা ভাড়া দেন । তিনি বুঝতে পারেননি যে, সে একজন প্রতারক এলাকাবাসীকে ঠকিয়ে এভাবে চলে যাবেন।
এ ব্যাপারে খুলনা লবণচরা থানায় ২৭ নভেম্বর একটি অভিযোগ (আর ৪১৮) দায়ের করা হয়েছে ।
এম এম উদ্দিন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত