কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কের নূড়িতলা বাজার থেকে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা (মাটির) রাস্তার কারনে ১০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসি জানান নূড়িতলা বাজার থেকে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার রাস্তা দু বছর আগে পাঁকাকরণ করা হয়েছে বাকি দেড় কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুরহ হয়ে পড়েছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই স্বাবাবিক যানবাহন এমনকি পায়ে হেঁটে চলাও দুস্কর হয়ে পড়ে। যে সকল গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে সে সকল গ্রামগুলো হলো বেলকাটি, সাগরদত্তকাটি, নেপাকাটি, সাতাইশকাটি, রামভদ্রপুর, পাঁজিয়া, গড়ভাঙ্গা, সাগরদত্তকাটি, ইমাননগর ,মুজগুন্নি ও দূর্বাডাঙ্গা গ্রামের লোকজন প্রতিনিয়ত চলাচল করে। এ ছাড়া পাঁজিয়া, কলাগাছি, নারায়নপুর,আড়ুয়া ,ভেরচিসহ এ অঞ্জলের মানুসের গোলাম আলী ফকির রাস্তা, চিনাটোলা, মনিরামপুর ও জেলা শহর যশোরে যাওয়ার সহজ পথ এটি। এ রাস্তাটি হলে যেমন রাস্তা কম হবে খরচ হবে কম।
বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এলাকার লোকজন কে গড়ভাঙ্গা বাজার ও পাঁজিয়া বাজারে ঢুকতে ৭ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে হয়। গড়ভাঙ্গা বাজারে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুলো হলো, গড়ভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং পাঁজিয়া বাজারে, পাঁজিয়া ডিগ্রী কলেজ,পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁজিয়া এমএন দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কয়েকটি। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাঁচা মালসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাতায়াতের জন্য চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়।
কাঁচামাল ব্যাবসায়ীদের ও একই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু পর্যন্ত কাঁদা। নূড়িতলা বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ডাঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি পাঁকা করনের দাবি দীর্ঘ দিনের কিন্তু ৩ কিঃ মিটার রাস্তার মধ্যে দেড় কিঃ মিটার রাস্তা পাঁকাকরণ করা হলেও বাকি দেড় কিলোমিটার রাস্তা কারনে ৭কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পাঁজিয়া বাজারে আসা যাওয়া করতে হয়। আজও বাস্তবায়ন হয়নি। বেলকাটি গ্রামের জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন রাস্তাটি পাঁকাকরন খুবই প্রয়োজন। সংশিষ্ঠ এলাকার ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জনগনের চলাচলে খুবই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্যা সাংবাদিকদের বলেন এখন নূতন কোন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না। তবে প্রকল্পের কাজ আসলে করা হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত