প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২১
এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরাঃ কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরায় লাগামহীন ভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার (০৫ ই জুন ২০২১) ভোমরা বন্দরসহ জেলায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোমরা বন্দরে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও অর্থনৈতিক অবস্থা সচল রাখার লক্ষে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চালু রয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। তবে ভোমরা স্থলবন্দর পার্কিং ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য লোড-আনলোড করার সময় বজায় থাকছে না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধী। শ্রমিকরা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে করছে লোড-আনলোডের কাজ। ভারতীয় আমদানীকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে খালাসি না থাকায় ভোমরা বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা অবাধে মেলামেশা করছে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের সঙ্গে। পণ্য খালাসের পর ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের নিকট থেকে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই হাতে হাতে বখশিশের টাকা নিচ্ছে শ্রমিকরা। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে শ্রমিক ও শ্রমিক সর্দাররা। ভোমরা স্থলবন্দর পার্কিং ইয়ার্ডে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো অবস্থান করলেও ট্রাক ড্রাইভাররা পার্কিং ইয়ার্ডের বাইরে এসে অবাধে ঘোরাফেরা করছে। ভোমরা কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন মুদি ও হোটেল রেঁস্তোরায় তাদের চলাচল রয়েছে প্রতিনিয়ত। যে কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানান, ভোমরা স্থলবন্দর পার্কিং ইয়ার্ডের মধ্যে যদি ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য হোটেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকত তাহলে তারা পার্কিং ইয়ার্ডের বাইরে এসে অবাধে চলাফেরা করতে পারত না। সাময়িকভাবে হলেও পার্কিং ইয়ার্ডের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে হোটেলসহ অন্যান্য ব্যবস্থা জরুরী ভিত্তিতে গ্রহণ করা দরকার। এদিকে ভোমরা এলাকার অনেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভোমরা বন্দর সীমান্তে পুলিশ ও বিজিবির নজরদারী বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। এছাড়া সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে কাঁচাবাজার। লকডাউনে ভোমরা বন্দর এখন জনশূণ্যতায়।