প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২১
মিলন হোসেন বেনাপোল।
বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় করোনার নতুন ধরণ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্দর এলাকার মানুষ।
এদিকে বন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ অংশে পণ্য প্রবেশ দ্বারে ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াই অনভিজ্ঞ আনসার সদস্য দিয়ে চলছে এসব ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের তেমন তদারকি না থাকায় সমাজিক দূরত্বের বালাই নেই বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা এসব ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীদের।
তবে কারো কারো কাছে মাস্ক থাকলেও তা মুখে না দিয়ে রেখেছে পকেটে বা কানে ঝুলিয়ে। এতে করে করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা ও স্থানীয়রা।
বন্দর এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসছে। এসময় ট্রাক চালকেরা পিপিই-মাস্ক পরে বেনাপোল বন্দরে আসলেও বন্দরে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে পৌঁছানোর পর পিপিই ও মাস্ক খুলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্রভাবে বন্দর এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এতে করে এসব ট্রাকচালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ধরণ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের। এবং এসব ট্রাকচালকেরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছে। আবার বাংলাদেশর বিভিন্ন এলাকা থেকে ও পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা ভারতে যাচ্ছে। এসব ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য সচেতনত না বাড়ালে এদের মাধ্যমে ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা বেশি। তাই বন্দরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে এসব ট্রাকচালক ও বন্দরের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এবং বিষয়টি তারা তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।
প্রেরক
মিলন হোসেন বেনাপোল
তারিখ ২৯/০৪ /২১
মোবাইল ০১৭১২২১৭১৪৩