২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,দুপুর ১:৩০

কপিলমুনিতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ লুকোচুরি ও বর্ধিত বিলের কারণে গ্রাহকরা নাকাল!

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২০

  • শেয়ার করুন

এ কে আজাদ, পাইকগাছাঃ গ্রীষ্মের দাবাদাহে বিদ্যুতের অস্থিরতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ।

গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে লকডাউনের সময় থেকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঘর বন্দি মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।

এলাকার মানুষ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে লকডাউন ও রোজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ দিলেও তাঁর কথা উপেক্ষিত হয়ে চলেছে প্রতিমূহুর্তে।

প্রতিদিন দিনে ও রাতে কমপক্ষে ৭/৮ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এখানে। বিদ্যুৎ ঘন ঘন চলে যাওয়াতে করোনায় আতংকিত ঘর বন্দি মানুষ প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তির জন্য গৃহত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

গত রোজায় সেহরী ও ইফতারের সময়ও বিদ্যুতের আসা যাওয়া ছিল লক্ষনীয়। তবে বর্তমান বিদ্যুতের লুকোচুরি প্রকট আকার ধারন করেছে। বিদ্যুতের লুকোচুরিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে চলেছে।

ভ্যাবসা গরমে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকা গর্ভবতী মা শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা শারীরিক অসুস্থতার শিকার হচ্ছেন। এদিকে বিদ্যুতের লুকোচুরির মধ্যে বর্ধিত বিলের কারণেও গ্রহকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে বিদ্যুতের চরম লুকোচুরি অন্যদিকে ভৌতিক বিলের কারণে করোনায় আর্থিক বিপর্যস্থ কপিলমুনি জনপদের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমি বাড়িতে যে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যাবহার করি তা মাস ভেদে বিল সামান্য কম বেশি হয়। কিন্তু চলতি সালের মার্চে ব্যাবহৃত ইউনিট ১২৫, এপ্রিলে ব্যবহৃত ইউনিট ১৫০ এবং মে মাসে ব্যবহৃত ইউনিট ২৫০। আমার প্রশ্ন এক লাফে ১‘শ ইউনিট বাড়লো কিভাবে?

গ্রাহক আশিষ রায় অভি বলেন, ‘এ যাবতকাল আমার আবাসিক মিটারে ৫শ-৬শ টাকা বিল আসে কিন্তু এবার বিল করেছে ১৬‘শ টাকা।’
এলাকার আলিম, আনোয়ারুল ইসলাম, মঈনুদ্দনি হাজরা, জানান অসহনীয় এই গরমে বিদ্যুৎ তো মাঝে মাঝে উধাও হচ্ছে আবার সেই সাথে ভৌতিক বিল। শুধু আমরা না এলাকার বহু মানুষ ভৌতিক বিলের শিকার হয়েছি। জানতে চাইলে কপিলমুনি পল্লী বিদ্যুৎ ইনচার্জ সোবাহান হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে লন্ডভন্ড এলাকায় আমাদের লোকবল কম থাকলেও অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কপিলমুনিতে বিদ্যুৎ সরববাহ করতে সক্ষম হয়েছি।

তবে এখনো যান্ত্রিক ত্রুাটি থাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এপ্রিল ও মে মাসে করোনার কারনে সরাসরি মিটারের কাছে যেয়ে ইউনিট নেয়া নিষেধ ছিল বলে আনুমানিক বিল করা হয়। এ কারণে বিল অনেক ত্রুটি হয়েছে। তবে আগামী বিলে বর্ধিত বিল সমন্বয় করে বিল করা হবে বলে জানান। এছাড়া খুব সহসায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

ঝড়ের আগেও বিদুতের এই লুকোচুরি সম্পর্কে সহকারী জুনিয়রি ইঞ্জিনিয়ার মো; মনিরুজ্জামান জানান, কোন লোডশেডিং নেই বললেও ¯্রফে যান্ত্রিক ক্রুটির জন্যে বিদুত্যের এই বিড়ম্বনা হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব ও আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই বলেও তিনি জানান।’

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন