প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৩
তথ্য ডেস্ক: তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আবারও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তিনি বলেছেন, সিরিয়া থেকে তুর্কি সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এরদোগানের সঙ্গে তার কোনো সাক্ষাৎ হবে না। লন্ডন-ভিত্তিক টিভি চ্যানেল স্কাই নিউজ আরবিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে দামেস্কের এই অবস্থান তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। সিরিয়া ও তুর্কি প্রেসিডেন্টদের মধ্যে অচিরেই একটি শীর্ষ বৈঠক হতে যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে যে গুজব প্রকাশিত হয়েছে তা কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন বাশার আল-আসাদ। সম্প্রতি ইরান ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দামেস্ক ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দু’দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন। স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, “এরদোগান সিরিয়ায় তুর্কি দখলদারিত্বকে বৈধতা দিতে আমার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান। সুতরাং এরদোগানের শর্ত মেনে এ ধরনের কোনো বৈঠক হতে পারে না।” তিনি বলেন, “আমি কেন এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করব? নিছক কোমল পানীয় সেবন করতে?” যতদিন সিরিয়া থেকে তুর্কি বিরোধী সন্ত্রাসবাদের উৎস বন্ধ না হবে ততদিন তুরস্ক তার সেনা প্রত্যাহার করবে না বলে এরদোগান যে দাবি করেন সে সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে আসাদ বলেন, “বাস্তবতা হচ্ছে সিরিয়ায় বিদ্যমান সন্ত্রাসবাদ তুরস্কের সৃষ্টি। আন-নুসরা ফ্রন্ট ও আহরার আল-শাম উভয়ই ভিন্ন নামে তুর্কি সৃষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আজ পর্যন্ত তুর্কি অর্থে পরিচালিত হচ্ছে। তাহলে এরদোগান কোন সন্ত্রাসবাদের কথা বলছেন?” সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট সুস্পষ্ট করে বলেন, আঙ্কারা যদি দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় তাহলে তাকে আগে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সুস্পষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করতে হবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গত মাসে বলেছিলেন, তিনি সিরিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেননি বরং তিনি তার সিরীয় সমকক্ষ বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা চাপিয়ে দেয়ার এক বছর পর ২০১২ সালে দামেস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল আঙ্কারা। সে ঘটনার এক দশকেরও বেশি সময় পর সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে তুরস্ক ২০১৯ সালের অক্টোবরে সিরিয়ায় যে সেনা মোতায়েন করে তা দু’দেশের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে।