বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনে যাওয়া যাবে ট্রেনে করেই। এ লক্ষ্যে সুন্দরবন পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাতক্ষীরা ও যাশোর জেলা অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘কন্সট্রাকশন অব নিউ বিজি ট্র্যাক ফ্রম নাভারন টু সাতক্ষীরা’ প্রকল্পের আওতায় যশোরের নাভারন থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। মুন্সিগঞ্জ হচ্ছে সুন্দরবনেরই একটি পয়েন্ট। মুন্সিগঞ্জের চুনা নদীর ওপারেই বনাঞ্চল।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এ রেলপথে যাওয়া যাবে সুন্দরবনের খুব কাছাকাছি মুন্সীগঞ্জ পয়েন্টে। সেখান থেকে একটা নদী পাড়ি দিলেই সুন্দরবনের মূল অংশ। সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্যের কথা চিন্তা করেই ট্রেন সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যাবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, যশোরের নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত থাকবে ৮টি স্টেশন। এগুলো হলো- নাভারন, বাগআচড়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, পারুলিয়া, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও মুন্সিগঞ্জ। ব্রডগেজের এ রেললাইনের যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
এ প্রকল্প প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা) আ.ন.ম. আজিজুল হক বলেন, একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় আছে প্রকল্পের কাজ। রেলপথটি নির্মাণে চীনসহ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী খোঁজা হচ্ছে। সুবিধা মতো যার সঙ্গে মিলবে তাকেই এই প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বেছে নেয়া হবে।
এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ গ্যারেজ পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯৮ দশমিক ৪২ কিলোমিটার।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ এস এম নজরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ শেখ তৌহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদকঃ মো: হুমায়ুন কবীর
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৩১ বি কে রায় রোড,খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ বাড়ি নং-২৮, রোড নং-১৪, সোনাডাঙ্গা আ/এ (২য় ফেজ) খুলনা থেকে প্রকাশিত ও দেশ প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ৪০ সিমেট্রি রোড থেকে মুদ্রিত।
যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৪২৫৪৬২
ফোন : ০২-৪৭৭৭২১০০৫, ০২-৪৭৭৭২১৩৮৩
ই-মেইলঃ dailytathaya@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক তথ্য । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত