প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
ক্রীড়া ডেস্ক: বদলি ফিল্ডার এনামুল হক বিজয়ের সরাসরি থ্রোয়ে করিম জানাত রান আউট। বাংলাদেশ আফগানিস্তানের অষ্টম উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছে। ১ রানে প্যাভিলিয়নে আফগান ব্যাটার। ২২১ রানে ৮ উইকেট নেই আফগানিস্তানের। এরপর তাসকিন আহমেদকে খেলতে গিয়ে ব্যাকফুটে হিট উইকেট হন মুজিব উর রহমান। জিততে আর বাংলাদেশের দরকার ১ উইকেট। ৯ উইকেটে ২৪৪ রান আফগানিস্তানের।গুলবাদিন নাইবকে নিজের তৃতীয় শিকার বানালেন শরিফুল। আর দুই বল পর তাসকিন আহমেদ পান মোহাম্মদ নবীর উইকেট। ২১৪ রানে ৭ উইকেট নিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। গুলবাদিনকে ১৫ রানে বোল্ড করেন শরিফুল। নবী ৩ রানে ফেরেন আফিফ হোসেনের ক্যাচ হয়ে।
আফগানিস্তানের আরেকটি বড় উইকেট পেয়ে গেলো বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে লং অনে হাসান মাহমুদের ক্যাচ হলেন হাশমতউল্লাহ শহীদী। আফগানিস্তান অধিনায়ক ৫১ রানে আউট হলেন। ১৯৬ রানে ৫ উইকেট হারালো আফগানরা।ইব্রাহিম জাদরানের পর হাসমতউল্লাহ শহীদীও হাপ সেঞ্চুরি করলেন্। ৩৬তম ওভারে তার ফিফটির পর বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৭ রানে বোল্ড করেন নাজিবউল্লাহ জাদরানকে।
অপরদিকে,মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য ইনিংসে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে করলো ৩৩৪ রান। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই চলবে না, রান রেটেও এগিয়ে থাকতে হবে। সেই বিবেচনায় বোলারদের সামনের বড় চ্যালেঞ্জ। আফগানদের বড় ব্যবধানে হারাতে এবার সাকিব-তাসকিনদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।লাহোরে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈম ৬০ রানের জুটি গড়েন। নাঈম ২৮ রানে বিদায় নেওয়ার পর তাওহীদ হৃদয় ডাক মারেন। তারপরই জুটি গড়েন শান্ত ও মিরাজ। দুজনে শতরানের জুটি গড়ার পথে হাফ সেঞ্চুরি করেন। সেটাকে সেঞ্চুরি নিতে দেরি করেননি। মিরাজ ১১৫ বলে আর শান্ত ১০১ বলে সেঞ্চুরি করেন। অবশ্য দুজনেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাঠ ছাড়েন। মিরাজ ১১২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। শান্ত পা পিছলে রান আউট হন ১০৪ রান করে। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ২৫ রান ও সাকিব ১৮ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহ তিনশ পার করেন। সাকিব অপরাজিত ছিলেন।
সাকিব আল হাসানের শট এক্সট্রা কভারে। নন স্ট্রাইক থেকে আগেভাগে বেরিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। তাকে ফিরে যেতে বলেন সাকিব। ততক্ষণে ক্রিজের মাঝপথে মুশফিক। তিনি ফেরার আগেই গুলবাদিন নাইব ভেঙে দেন স্টাম্প। ১৫ বলে ২৫ রানে থামেন উইকেটকিপার ব্যাটার।
আফগানিস্তান: ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫/১০ (ফারুকী ০*, রশিদ ২৪, মুজিব ৪, জানাত ১, গুলবাদিন ১৫, নবী ৩, হাশমতউল্লাহ ৫১, নাজিবউল্লাহ ১৭, ইব্রাহিম ৭৫, রহমত ৩৩, গুরবাজ ১); লক্ষ্য ৩৩৫ রান।
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৪/৫ (সাকিব ৩২*, আফিফ ৪*; শামীম ১১, মুশফিক ২৫, শান্ত ১০৪, মিরাজ ১১২* রি/হা, তাওহীদ হৃদয় ০, মোহাম্মদ নাঈম ২৮)