প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২০
শিক্ষা, সমাজ, জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক চিন্তা ও কর্মও ছিল
নওয়াব সলিমুল্লাহর জীবনের অপরিহার্য অংশ। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতার ফলে উনিশ শতকের শেষ ভাগ
থেকে বিশ শতকের প্রায় দেড় দশক পর্যন্ত শাহবাগের নওয়াব বাড়ী শুধু রাজনৈতিক বা
সামাজিক কর্মস্থলই নয়, নাটক, সঙ্গীত, চিত্রকলা, ক্রীড়া তথা দেশের প্রধান সাংস্কৃতিক
চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
শিক্ষান্নতির জন্যেই তিনি নিজ তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে শিক্ষা-সমিতি ও
রাজনৈতিক সভা-সমিতির আয়োজন করেন। জাতির উন্নতির জন্য তাঁকে গভর্নমেন্ট থেকে
১৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ধার নিতে হয়েছিল। সলিমুল্লাহ ছিলেন পূর্ববঙ্গের সমাজ-প্রাণ
এবং বদান্যতার গুণে গুনান্বিত। তাই তিনি নিজ তহবিল উজাড় করে দান করতে পেরেছিলেন।
মুসলিম শিক্ষার্থীদের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিরত থাকার অন্যতম একটি কারণ
ছিল-মুসলিম শিক্ষক ও মুসলিম পরিদর্শকের অভাব, এ কারণটিও সলিমুল্লাহ ভালভাবে উপলদ্ধি
করেন। এ জন্যই তিনি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অধিক সংখ্যক মুসলিম শিক্ষক ও মুসলিম
পরিদর্শক নিয়োগের দাবি জানান। এক্ষেত্রে নওয়াব সলিমুল্লাহ খান বাহাদুর আহছান
উল্লাহকে (১৮৭৩-১৯৬৫, আহসানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা) শিক্ষকতা পেশা থেকে ফিরিয়ে
এনে শিক্ষা বিভাগের পরিদর্শক হিসেবে সরকারী চাকুরির জন্য উৎসাহ প্রদান ও
সহযোগিতা করেছিলেন।
মুসলিম শিক্ষার প্রতি সলিমুল্লাহর বিশেষ আগ্রহ ছিল। স্বল্পকালের মধ্যেই তাঁর উৎসাহে
ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী প্রভৃতি শহরে মুসলিম ছাত্রদের জন্য ‘ফুলার হোস্টেল’ স্থাপিত হয়।
আলীগড় কলেজ-বোর্ডিং হাউসের নমুনায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজের পাশের্ব
একটি ‘মোহামেডান হল’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত ছিল অন্যতম। এ প্রস্তাবিত হল বা হোস্টেলের
জন্য নওয়াব সলিমুল্লাহ ও নওয়াব আলী চৌধুরী যথাক্রমে ১,৮৬,৯০০ টাকা ও ৩৫,১৫০ টাকা
দানের কথা তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করেন। ১৯১১ সালের ১৫ মার্চ বুধবার ও ১৭ মার্চ শুক্রবার
নওয়াব সলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে ঢাকায় তাঁর বাসভবন আহসান মঞ্জিলে ‘প্রাদেশিক
মুসলিম লীগ’-এর এক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে স্থিরীকৃত হয় যে, প্রাদেশিক
মুসলমান সমিতির কর্তব্য হবে প্রদেশের শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণমূলক কর্মতৎপরতা জোরদার করা।
এ অধিবেশনে নওয়াব সলিমুল্লাহ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য একটি মুসলিম
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং মৌলবী আযীয মির্যা বিষয়টির
গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেন। অতঃপর আলীগড়ে একটি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশ্যে অর্থ
সংগ্রহের জন্য নওয়াব সলিমুল্লাহকে সভাপতি এবং রেভিনিউ বোর্ডের জুনিয়র
সেক্রেটারী মুহীবুদ্দীন আহমদকে সেক্রেটারী করে একটি কমিটি গঠিত হয়। নওয়াব
ইতঃপূর্বে ‘মুসলিম ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন’ কমিটির অন্যতম ভাইস-প্রেসিডেন্ট
ছিলেন।
বঙ্গভঙ্গ রদ এবং নবগঠিত পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশ বাতিলের ফলে এ অঞ্চলের মুসলমান
জনসাধারণের মধ্যে যে হতাশা নেমে আসে তাতে প্রলেপ দানের জন্য ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ঢাকায়
একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। বলা চলে বঙ্গভঙ্গ রদ না হলে যেমন পরিণতিতে
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন অপরিহার্য ছিলো তেমনি আবার বঙ্গভঙ্গ রদের পরেও সে
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন অনিবার্য হয়ে পড়ে। সুতরাং বলা যায় যে, প্রথম বঙ্গভঙ্গ এবং তা রদের
ফলেই ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। একথাও বলা যায় যে,
বঙ্গভঙ্গ না হলে হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হত না। বিশ শতকের দ্বিতীয়
দশকে ‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ পরবর্তী পর্যায়ে মুসলমান ঘনবসতিপূর্ণ পূর্ববঙ্গের মানুষের মধ্যে যে
কয়েকটি দাবি জনপ্রিয়তা পায়, ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছিল এর মধ্যে অন্যতম। বঙ্গভঙ্গের পর ঢাকায় ‘সর্বভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন’ এবং ‘পূর্ববঙ্গ ও
আসাম প্রাদেশিক শিক্ষা সমিতির’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসব সম্মেলন সাড়া জাগায়।
পূর্ববঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আওয়াজ তোলেন সর্বপ্রথম ‘মোহামেডান
এডুকেশন্যাল কনফারেন্স’-এর অনার্যারি জয়েন্ট সেক্রেটারি ব্যারিস্টার সাহেবযাদা আফতাব
আহমদ খাঁ। ১৯০৬ সালে ঢাকায় আয়োজিত সম্মিলনে তিনি বলেন, “মুসলিম প্রধান
পূর্ববাংলার উচ্চ শিক্ষার জন্য আমার প্রথম প্রস্তাব হলো, এ প্রদেশে একটি স্বতন্ত্র
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত”।
লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় আগমন করে তিন দিন অবস্থান করেন। ৩১
জানুয়ারি নওয়াব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধিদল
বড়লাটের সঙ্গে দেখা করে একটি মানপত্র প্রদান করেন এবং কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করে
পুর্ববঙ্গের মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ প্রতিনিধি
দলে নওয়াব আলী চৌধুরী এবং এ কে ফজলুল হকও ছিলেন। তঁারা মানপত্রে উল্লেখ করেন যে,
হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানরা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা উপকৃত হয়নি বললেই চলে।
তাঁরা আশংকা প্রকাশ করেন যে, বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে তাদের শিক্ষান্নতির ধারাবাহিকতা হয়তো
বিঘ্নিত হবে।
মুসলিম প্রতিনিধি দল বড়লাটের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো দাবি
উত্থাপন করেন বলে মুহাম্মদ আবদুর রহীম উল্লেখ করেন। সুফিয়া আহমদ বলেন, নওয়াব
সলিমুল্লাহ ১৯০৫ সাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের উপর চাপ
দিচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আহমদ হাসান দানী বলেন, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবটি ছিল খুব সম্ভব গর্ভনমেন্ট প্রণোদিত। মুসলিম
নেতৃবন্দ লর্ড হার্ডিঞ্জকে পূর্ববাংলার শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত না করার আবেদন জানান
এবং ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুরোধ করেন। তখন লর্ড হার্ডিঞ্জ বুঝতে
পারেন যে, বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ায় মুসলমানদের খুব ক্ষতি হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন যে, শিক্ষার
মাধ্যমেই ভারতের মুসলমানরা তাদের উন্নতি করতে পারবে। তিনি প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস
দেন যে, নতুন প্রশাসনে মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে এবং মুসলমানদের ক্ষতি পূরণের
জন্য ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতঃপর ২ ফেব্রুয়ারি ১৯১২
সালে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণাকারে প্রকাশ করা
হয়। লর্ড হার্ডিঞ্জের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণাকে মুসলমানরা বঙ্গবিভাগ
প্রত্যাহারের ক্ষতিপূরণ মনে করে নয়, বরং উচ্চ শিক্ষা লাভের সোপান বিবেচনা করেই স্বাগত
জানান।
নওয়াব সলিমুল্লাহ ছিলেন পূর্ববাংলার শিক্ষান্নতির জন্য নিবেদিত প্রাণ। ভাইসরয় লর্ড
হার্ডিঞ্জ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ঘোষিত হওয়ায় তিনি বঙ্গবিভাগ রদজনিত
নিরাশার অন্ধকারেও তাঁর স্বপ্নে দেখা উজ্জ্বল পূর্ববাংলার অনেকটা আভা দেখতে পান এবং
সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানান। কিন্তু হিন্দু বুদ্ধিজীবীদের তুমুল বিরোধিতায় তিনি
খুবই ব্যথিত হন। পূর্ববাংলা ও আসাম প্রাদেশিক মুসলমান শিক্ষা সমিতি এবং
প্রাদেশিক মুসলিমলীগ, বিদায়ী ছোটলাট হেয়ারকে যে অভিনন্দন পত্র দেয়, তাতে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। মুসলমান সমিতির উক্ত অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ।
শিক্ষাই মুসলমানদের মুক্তির একমাত্র পথ এই বিবেচনায় গভর্নমেন্ট সর্বান্তকরণে ঢাকায়
একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নওয়াব সলিমুল্লাহ ভারত সচিবের কাছে সুপারিশ করেন।
তদনুসারে ১৯১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এক ইশতিহারে ভারত সরকার কর্তৃক ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ ঘোষণা করা হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটি কমিটির অধীনে ইউনিভার্সিটির পাঠ্যসূচি রচনার উদ্দেশ্যে ২৫টি সাব-কমিটি গঠিত হয়। ‘ইসলামিক
স্টাডিজ’ বিষয়ের সাব-কমিটির সঙ্গে নওয়াব সলিমুল্লাহ ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
১৯২১ সালের জুলাই মাসে যথারীতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা আরম্ভ হয়। নওয়াব
সলিমুল্লাহ তাঁর স্বপ্নে দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেন নি। তাঁর অবদানকে
স্মরণীয় করার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এর প্রথম নির্মিত হলের নামকরণ করা
হয় ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল’ ১৯২৭ সালের জুলাই এবং ১৯৩১ সালের আগস্ট হলটি উদ্বোধন
করা হয়।
নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ৭ জুন ১৮৭১ সালে ঢাকার বিখ্যাত খাজা পরিবারে জন্ম গ্রহণ
করেন। আজ ৭ জুন ২০২০ সাল; প্রায় ১৪৯ বৎসর সময় অতিবাহিত হলো। তাঁর ১৫০ তম জন্ম
দিনে ঢাকার সাভারে নওয়াব এস্টেটের জমিতে ‘নওয়াব সলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে কাজ করার প্রস্তাব পেশ করছি। পূর্ব বাংলার শিক্ষা বিস্তারে যিনি মেধা, ভূমি, শ্রম ও
অর্থ ব্যয় করেছেন; বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-এর
ভূমিদান একটি বড় অবদান হিসেবে বর্তমানে (ঢাবি’র শততম বর্ষ পূর্তি) তাকে
মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। ঢাবি’র শতবর্ষ উৎযাপনে নওয়াব সলিমুল্লাহর উপর একটি
বিশেষ সেশন-এর ব্যবস্থা করা। তাঁর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি ‘গবেষণা কেন্দ্র’,
‘সলিমুল্লাহ অধ্যাপক’, ‘নওয়াব সলিমুল্লাহ চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের
জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি। নওয়াব পরিবারের সদস্যবৃন্দ, নওয়াব
সলিমুল্লাহর অনুরাগী, তথা বাংলাদেশের সকল জনসাধারনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয়
শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, সরকারের সকল পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে
আসবেন বলে প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশে যেখানে প্রায় ৩৮ টিরও অধিক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়
এবং প্রায় ১০৫ টির মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়; সেখানে নওয়াব সলিমুল্লাহর নামে তাঁর
নিজস্ব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কি সম্ভব নয়? বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর
নামে সিরাজগঞ্জে একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াত জাতীয়
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান স্যার-এর ট্রাষ্ট এবং অন্য একটি ট্রাষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে যে,
কুষ্টিয়া ও পাবনাতে আরও দুটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর নামে প্রতিষ্ঠা
করার কাজ চলছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শতবর্ষ পূর্তি এবং নওয়াব সলিমুল্লাহর জন্ম সার্ধশতবর্ষকে সামনে রেখে তাঁর স্মৃতি রক্ষা,
দীর্ঘ সময় পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও সকলের প্রতি যথার্থ মূল্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য
সবিনয়ে অনুরোধ করছি।
ড. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান
খণ্ডকালীন শিক্ষক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।