৩০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ২:৩৫

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিলেন হারুন, বাহার ও দ্বারা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদকঃ

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এসএম মোর্তজা রশিদী দারা এবং বিএমএ জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম।
এছাড়াও সদস্যের ৯টি পদে ৩৪ জন, সংরক্ষিত ৩টি সদস্য পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন
বৃহষ্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা।
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।
বেলা ১টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, স্বেচ্চাসেবক লীগের জেলা সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, কৃষক লীগ নেতা মানিকুজ্জামান অশোক, যুব মহিলা লীগের এ্যাড. সেলিনা আক্তার প্রিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এসএম মোর্তজা রশিদী দারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা ও সংকৃতি কর্মী হুমায়ূন কবির ববি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা ও শেখ ফজলুল কবীর বিকু উপস্থিত ছিলেন। উভয় প্রার্থী রিটার্ণিং অফিসারের কাযালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মোর্তজা রশিদী দারা গণমাধ্যমকে বলেন, উৎসব মূখর পরিবেশে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন তিনি প্রত্যাশা করেন। তিনি আশাবাদী, সচেতন বিবেক সঠিক রায় প্রদান করবে।
বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বিএমএ জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলমের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, ৯ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ভোট কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৮০ জন ভোটার, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ উপজেলা পরিষদ ও ৭ টি ইউনিয়নের ৮১ জন ভোটার, খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে কেসিসি ও রূপসা উপজেলার ১১০ জন ভোটার, বটিয়াঘাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯৪ জন ভোটার, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৫৫ জন ভোটার, ডুমুরিয়া শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৮৫ জন ভোটার, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ভোট কেন্দ্রে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৪৬ জন ভোটার, কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯৪ জন ভোটার এবং চালনা বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিসহ ১৩৩ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না।
বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন নিহত হওয়ায় ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ পরেছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন