প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২০
খুলনায় করোনা ভয়ংকার রূপ ধারণ করেছে। মহানগরের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চলছে করোনার তান্ডব। হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্য।
আজও খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার ২৫ জন। এছাড়া বাগেরহাটে ০৩ জন,মাগুরা ০২ ও পিরোজপুর ০১ জন রয়েছেন।
আজ রাতে পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এ নিয়ে খুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৫ ছাড়িয়েছে।খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা.মেহেদী নেওয়াজ জানান, আজ (০৯ জুন) মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিলো ১৪৭টি। এদের মধ্যে মোট ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
যার মধ্যে ২৫ জন খুলনা জেলার। বাকিরা মাগুরা বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার।
তিনি আরও জানান,খুলনায় নতুন শনাক্ত হওয়া ২৫ জনের মধ্যে রয়েছেন,সোনাডাঙ্গা থানাধীন সিদ্দিকীয়া মহল্লার সোনার বাংলা গলির ৫৭ বছরের এক ব্যক্তি, খালিশপুর হাউজিং স্টেটের ২৭ বছরের এক যুবক, আর আর এফ এর ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি, ওজোপাডিকো’র ৫৭ বছরের এক ব্যক্তি, ১১/১ মিস্ত্রিপাড়া এলাকার ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ, শেরে বাংলা রোডের ২৪ বছরের এক তরুণী, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই নারী, ১২ ফারাজীপাড়া লেনের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৫৪ বছরের এক ব্যক্তি, ১৫৬ সোনাডাঙ্গার ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ, খানজাহান আলী থানাধীন ৫০ বছরের এক ব্যক্তি, রায়েরমহল হরিণডাঙ্গা এলাকার ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ, সোলাইমান নগর লেনের ৪০ বছরের এক ব্যক্তি, রূপসা উপজেলার রাজাপুরের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৫ বছরের একজন, মিস্ত্রিপাড়া এলাকার ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৫৪ বছরের এক নারী, সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা শ্মশান ঘাট এলাকার ৩২ বছরের এক যুবক, সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতা এলাকার ৫৮ বছরের এক ব্যক্তি, শেখপাড়া আবুল সড়কের ২৯ বছরের যুবক, খুমেকের ফ্লু কর্নারে চিকিৎসাধীন বাগেরহাটের নাগেরবাজারের স্বামী-স্ত্রী, তাদের দুজনের বয়স ৫৮ বছর, নগরীর ৪০ বছরের একজন নারী, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের ৫০ বছরের একজন ক্লিনার।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলায় এখন পর্যন্ত ২৫৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৬ জন, মারা গেছেন ৫ জন।